স্বদেশ ডেস্ক: এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডটিতে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯২৬ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া, রাজশাহীতে ২৬ হাজার ৫৬৮, কুমিল্লায় ৯ হাজার ৩৬৪, যশোরে ১২ হাজার ৮৯২, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ১৪৩, বরিশালে পাঁচ হাজার ৫৬৮, সিলেটে ৪ হাজার ২৪২, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৮৭১ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ১০ হাজার ৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে চার হাজার ৪৮ এবং কারিগরি বোর্ড থেকে চার হাজার ১৪৫ জন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পেয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হলো।
এইচএসটি ও সমমানে গতবার পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তার আগের বছর ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। গতবার এই সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬। তার আগের বছর ছিল ২৯ হাজার ২৬২। এবার জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
পরীক্ষা না নিয়ে ফল প্রকাশে আইন সংশোধনের পর একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যাতে পৌনে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটল।
রীতি অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নেয়া হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের আগে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তার হাতে তুলে দেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। সেখানে শিক্ষামন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন। তবে এবার করোনার কারণে এ রীতির ব্যতয় ঘটিয়ে ভার্চ্যুয়ালি হবে এসব আনুষ্ঠানিকতা। সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভার্চ্যুয়ালি ফলাফল তুলে দেবেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার পরীক্ষা ছাড়া এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার না নিয়ে জেএসসি এবং এসএসসি ফলাফলের গড়ের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেয়া হবে। জেএসসিতে ২৫% এবং এসএসসিতে ৭৫% ধরে এ ফল তৈরি করা হয়েছে।
২০২০ সালে ৯টি সাধারণ, কারিগর ও মাদরাসা মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।